1. mohiturrahman335@gmail.com : mohiturrahman335@gmail.com :
       
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন

সৌরবিদ্যুতের কারণে পাখি মারা পড়ছে

  • Update Time : সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সৌরবিদ্যুতের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন মরুভূমি, সমভূমি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুরোনো পরিত্যক্ত ভবন ও এলাকায় উজ্জ্বল সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সূর্যালোকের মাধ্যমে কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্য প্রাণী পরিবেশবিদ ট্রিশ ফ্লেমিংয়ের এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সোলার ফার্মের কারণে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৪ হাজার ৭০০ বর্গমাইল জমি দখল হয়ে গেছে। এই ভূমির পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার সমান। এভাবে ভূমির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে।

গবেষণায় দেখা যায় গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সৌরশক্তির ভূমিকা বাড়ানোর নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। উদ্যোগের কারণে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে। খারাপভাবে ডিজাইন করা বিভিন্ন সৌর প্রকল্প নতুন করে ঝুঁকি তৈরি করছে। এসব উদ্যোগের কারণে পাখি, বাদুড় আর অন্যান্য বন্য প্রাণীর ক্ষতি হতে পারে।

সমতল আর কালো সৌর প্যানেল বিশাল আয়নার মতো কাজ করে। অনেকটা প্রাকৃতিক হ্রদের মতোই আলোকে প্রতিফলিত করতে পারে এসব প্যানেল। অনেক উড়ন্ত পোকামাকড়, পাখি আর বাদুড়েরা এসব প্যানেলের কারণে বিভ্রান্ত হয়। অনেক সময় পরিযায়ী পাখিরা সৌর প্যানেলের ওপর বৃত্তাকারে বা অবতরণ করে। হ্রদ বা পানির উৎস বলে অনেক সময় পাখিরা ভুল করে বলে গবেষণায় দেখা যায়। এসব প্যানেলের কারণে পাখি ও অন্যান্য শিকারি প্রাণের মধ্যে সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়ছে। বিভিন্ন প্যানেলের কারণে সৌরশক্তি কেন্দ্রীভূত হয় বলে বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। কিছু সৌরশক্তির কেন্দ্রের কারণে তীব্র তাপ বা আলোর প্রতিফলনের কারণে পাখিদের মৃত্যুর মতো ঘটনা দেখা যায়।

এসব প্রকল্পে ব্যয়বহুল সরঞ্জাম রক্ষা করার জন্য নানা ধরনের বৈদ্যুতিক বেষ্টনী দেওয়া হয়। এই সুরক্ষাব্যবস্থার কারণে সরীসৃপ, ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ভূমিতে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রজাতির স্বাভাবিক চলচল বিঘ্ন ঘটছে। অনেক সময় সোলার প্যানেলে প্রাণীরা আটকা পড়ছে। বেষ্টনীর গোলকধাঁধা থেকে বেরিয়ে আসতে অক্ষম অনেক প্রাণী। দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন প্রকল্পে এমন অবস্থা দেখা যায়। সেখানে সৌর প্যানেলের চারপাশে সমান্তরাল বেড়ার মধ্যে আটকে বড় পাখি মারা যাওয়ার ঘটনা দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা মোশন-ক্যামেরা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্পের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেছেন।

সাধারণত প্রতি মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রকল্পের জন্য দুই থেকে ছয় হেক্টর জমির প্রয়োজন হয়। সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞানীরা ন্যানো-টেক্সচার্ড প্যানেল আবরণ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এই ধরনের প্যানেল বন্য প্রাণীর জন্য বিভ্রান্তিকর আলোর সংকেত কমিয়ে দেয়। সৌর প্যানেলের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা রিনিউয়েবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনার্জি রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

আরো খবর দেখুন