.
১. ভালুকা উপজেলার পরিচিতি
ভালুকা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের প্রথম মডেল থানা এবং দেশের অন্যতম বিসিক শিল্প নগরী।সাক্ষরতার হার 96% বেকারত্বের হার 4% শিক্ষার হার 72% প্রবাসী রেমিটেন্স 7% এটি সারা বাংলাদেশের সবকয়টা থানাকে পিছনে ফেলে ভালুকা এক নম্বর অবস্থানে এসেছে। ইসলাম 95% হিন্দু 3% খ্রিস্টান 2% এ উপজেলায় ৮৭টি মৌজা ও ১১০টি গ্রাম রয়েছে।

অবস্থান
ভালুকাকে ময়মনসিংহের দরজা বলা হয়। ঢাকা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ জাতীয় চারলেন মহাসড়ক পথে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস (গাজীপুর) ও মাওনা চৌরাস্তা(শ্রীপুর) হয়ে (প্রায় ৭০কিঃমিঃ) পর ভালুকা উপজেলা। উত্তরে ত্রিশাল উপজেলা, দক্ষিণে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা, পূর্বে গফরগাঁও উপজেলা, পশ্চিমে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা ও টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলা ও ঘাটাইল উপজেলা।
যোগাযোগ
ঢাকা থেকে ৭০ কি মি দূরত্বে অবস্থিত শিল্পনগরী ভালুকা। চার লেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দ্বারা খুব সহজেই ভালুকায় পৌছানো যায়।
প্রশাসনিক এলাকা
ভালুকা উপজেলা ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ভালুকা উপজেলার আয়তন ৪৪৪.০৫ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ভালুকা থানার আওতাধীন।
পৌরসভা: ভালুকা
ইউনিয়নসমূহ: ১নং উথুরা, ২নং মেদুয়ারী, ৩নং ভরাডোবা, ৪নং ধীতপুর, ৫নং বিরুনিয়া, ৬নং ভালুকা, ৭নং মল্লিকবাড়ী, ৮নং ডাকাতিয়া, ৯নং কাচিনা, ১০নং হবিরবাড়ী, ১১নং রাজ।
.
মূলত ভালুকা গ্রাম ও ভালুকা বাজারকে কেন্দ্র করেই ভালুকা থানা ও ভালুকা উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে। ভালুকা নামকরণ বিষয়ে বেশ কয়েকটি জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে। এই জনশ্রুতিগুলোর মধ্যে তিনটি জনশ্রুতিই সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য।
প্রথম জনশ্রুতি
এই তিনটি জনশ্রুতির একটি হলো ব্রিটিশ শাসন যখন বাংলাদেশে পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন নীলকর সাহেবগণ তাঁদের নিজস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে বিভিন্ন জায়গায় নীলকুঠি স্থাপন করেন। নীলকুঠি স্থাপনের পর নীলকর সাহেবগণ মাঝে মধ্যে শিকার করতে বের হতেন। শিকার করতে বের হয়ে নীলকর সাহেবগণ বনে-জঙ্গলে বাঘ, ভাল্লুক দেখতে পেতেন। আর এ কারণেই নীলকর সাহেবদের কাছে এই এলাকা ভাল্লুক এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ভাল্লুক এর অপভ্রংশ হিসেবে উৎপত্তি ঘটে ভালুকা নামের।দ্বিতীয় জনশ্রুতি
বর্তমান ভালুকা বাজারের দু’টি অংশ রয়েছে। এর একটি হচ্ছে পূর্ব অংশ, অন্যটি হচ্ছে পশ্চিমাংশ। পূর্ববাজারসহ গোটা ভালুকাই ছিলো ভাওয়াল পরগণার অন্তর্ভুক্ত। অবশ্য ভালুকার পশ্চিম বাজার ছিলো মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজ শশীকান্তের জমিদারির আওতাভূক্ত। সেখানে জঙ্গলের ভেতর একটি মাজার ছিলো। এর খাদেম ছিলেন ওয়াহেদ আলী ফকির ও তৈয়বজান বিবির পিতা বুচাই ফকির। মরহুম খান সাহেব আবদুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে তাঁর সমসাময়িক বেশ ক’জন বিশ্বস্ত লোক মনসুর আলী খান, জয়েদ আলী ও জয়েদ খানের সহযোগিতায় ভালুকা বাজার সৃষ্টি হয়। পূর্ব বাজারে একটি কাঁচারী ঘর ছিলো। সেখানে ভাওয়াল রাজার নামে খাজনা আদায় করা হতো। ভাওয়ালের কাঁচারীর নাম হয়ে ছিলো ভাওয়ালের নাম অনুসারেই। পরবর্তী সময় বাজারসহ গ্রামের নামকরণ হয় ভালুকা।তৃতীয় জনশ্রুতি
ভালুক চাঁদ মন্ডল ছিলেন আদিবাসী কোচ বংশের সর্দার। ভালুক চাঁদ এর নামানুসারে ভালুকা নামের সৃষ্টি হয়েছে। উথুরা ইউনিয়নে ও বর্তমান ডাকাতিয়া অঞ্চলে কোচ বংশের লোকজনের অধিবাস এখনো রয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বর্তমানে কোচ বংশের লোকজন বর্মণ পদবী ‘ধারণ করেছে।.
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নাম্বার সেক্টরের অধীনে থাকা ভালুকা পাকিস্তানি দখল মুক্ত হয় ৮ ডিসেম্বর। ভালুকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যার ভূমিকা অন্যতম তিনি হলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিন। তার পরিচালিত বাহিনীকে আফসার বাহিনী বলা হত। মেজর আফসারের বাহিনীতে সেনাবাহিনীর নিয়মানুযায়ী ৫টি ব্যাটেলিয়নে ২৫টি কোম্পানি গঠন করা হয়। প্রত্যেক কোম্পানিতে ৩টি প্লাটুন, প্রত্যেক প্লাটুনে ৩টি সেকশন এবং প্রত্যেক সেকশনে ১৫ জন করে মুক্তিযুদ্ধা ছিল। তৎকালীন রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ছিলেন ভালুকার মোঃ আব্দুল মান্নান যিনি প্রথম ৩টি ৩০৩ রাইফেল জোগাড় করে মেজর আফসার উদ্দিনকে ট্রেনিং শুরু করতে অনুরোধ করেন এবং নিজেও সেই বাহিনীতে যোগ দেন। এই বাহিনীর উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের মধ্যে অন্যতম হলো- বাটাজোর (১৪ আগস্ট), কাচিনা, ডাকাতিয়া, পাঁচগাঁও, কাতলামারি, রাজৈ, ফুলবাড়িয়া ও কালিয়াকৈর ইত্যাদি জায়গায় এ বাহিনী বিপুল বিক্রমে যুদ্ধ করে। তার মধ্যে অন্যতম হল ভাওয়ালিয়াবাজু যুদ্ধ। মেজর আফসার উদ্দিনের নেতৃত্বে ২৬ জুন ভালুকা থানায় এ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ৪৮ ঘণ্টা স্থায়ী ভাওয়ালিয়াবাজু যুদ্ধে ৫০ জন পাকসেনা খতম হয়। শহীদ হন আরেক বীর মুক্তিযুদ্ধা আবদুল মান্নান।
.
মোট_জনসংখ্যা= ৩০৮,৭৫৮ জন (২০১১ সনের আদমশুমারী অনুযায়ী), পুরুষ= ১৫৮,০০৩জন, মহিলা= ১৫০৭৫৫ জন। মুসলিম=৯৪%, হিন্দু=৫%, অন্যান্য=১%। জনসংখ্যার প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৬৯৫ জন, মোট খানার সংখ্যা ৭২,০৬৯টি, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৫৪%
বর্তমানে (২০১৯) স্থানীয় ধারণা অনুযায়ী ভালুকায় বিশাল বহিরাগত জনসংখ্যাসহ ১৫ লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করছে,এবং এ থেকে বর্তমান ২০১৯ এ ভালুকার জনসংখ্যার বিশালতা ধারণা করা যায়।
.
শিক্ষসার হার=৪৯.৮%। মোট সাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন জনগণ:১৭৯৮৬১।
মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১৭টি (সরকারী ৯৪টি, বেসরকারী রেজিষ্টার্ড ৩৫টি, আন রেজিষ্টার্ড ১টি, উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ৮টি, কিন্ডার গার্ডেন ৬টি, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ১১টি, উচ্চ মাদ্রাসা সংলগ্ন ৩৭টি, কমিউনিটি ২৫টি),
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১টি, ৯ম শ্রেণীর অনুমতি প্রাপ্ত বিদ্যালয় ৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৩টি, স্কুল এন্ড কলেজ ৩টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১টি, ডিগ্রী কলেজ ২টি (সরকারী), ফাযিল মাদ্রাসা ৩টি, আলিম মাদ্রাসা ২টি, দাখিল মাদ্রাসা ৩৬টি।
.
প্রধান খাত-শিল্প। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে দেশীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া কৃষি ও মৎস্য খাতও অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে।
.
নির্বাচনী এলাকা ১৫৬-ময়মনসিংহ ১১। ভোটার সংখ্যা পুরুষ ১১৪৪২২ জন, মহিলা ১১৯৩৯৭ জন, মোট ২৩৩৮১৯ জন। বর্তমান সংসদ সদস্য নেই সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এম এ ওয়াহেদ।
.
অসংখ্য টেক্সটাইল মিলস,ঔষধ কারখানা,কুমির খামার,সিরামিক শিল্প,স্পিনিং মিলস,কোমল পানীয় কারখানা,স্যালাইন কারখানা,ফিস ফিড,চালের মিল,মোটরযান কারখানা,গ্লাস কারখানা এবং দক্ষিণ ভালুকায় রয়েছে ভারী শিল্প ও আন্তর্জাতিক মানের পোশাক শিল্পাঞ্চল।
.
নদী
ভালুকা উপজেলায় অনেকগুলো নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে খিরু নদী, সুতিয়া নদী, কাওরাইদ নদী, বাজুয়া নদী, লাউতি নদী,বিলাই জুড়ি ও মিয়াবুয়া নদীখিরু নদী ও ভালুকা
শীতলক্ষার একটি শাখা নদী খিরু নদী। ভালুকা বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদীটি। নদীটির দুই পাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য অনেক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখে মনপ্রাণ মুগ্ধ হয়ে যায়।এককালে ভাটি অঞ্চলের মানুষ বিশেষকরে বরমীবাজার,কাওরাইদ বাজার,পারুলদিয়া বাজার, ঝালপাজা বাজার,পনাশাইল বাজার,মল্লিকবাড়ী বাজার অনবরত যাতায়াত ছিল এইনদী পথে।সময়ের ব্যবধানে সেই জনপদগুলো আজ বিলুপ্তির দিকে।এইনদীর মাছ অনেক নদীর তুলনায় খেতে খুব সুস্বাদু ছিল। সারি সারি পালের নৌকায় মাঝির কন্ঠে ভাটিয়ালি শোনা যেত।নৌকা বাইচ ছিল খুব এই নদীতে জনপ্রিয়।প্রতি বর্ষায় আসর বসত উত্তেজনাপূর্ণ নৌকা বাইচের। বিভিন্ন জেলার বণিকদের যাতায়াতের পথ ছিল এই নদী।
.
কাদিগড় জাতীয় উদ্যান এই উপজেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩৪৪.১৩ হেক্টর জমি নিয়ে এই জাতীয় উদ্যানটি গঠিত।[৪] এছাড়া মোট বনভূমি ২৩০৭৮.২৬ একর। বালু মহল আছে।
.
মোট জমি ৪৪৪০৫ হেক্টর। এক ফসলী জমি ৫২২৩ হেক্টর, দুই ফসলী জমি ১৯৫৩৮ হেক্টর, তিন ফসলী জমি ১৬৮৯৭ হেক্টর। নীট ফসলী জমি ৪১৬৫৮ হেক্টর, মোট ফসলী জমি ৯৪৯৯০ হেক্টর, ফসলের নিবিড়তা ২২৮%। বর্গাচাষী ৮০০০ জন, প্রান্তিক চাষী ২৪০১১ জন, ক্ষুদ্র চাষী ৯০০০ জন, মাঝারি চাষী ৮৩২৮ জন, বড় চাষী ২০০০ জন। কৃষি ব্লকের সংখ্যা ৩১টি, কৃষি বিষয়ক পরামর্শ কেন্দ্র ৩১টি, সয়েল মিনিল্যাব ৫টি, বিএডিসি বীজ ডিলার ১৯ জন, বিসিআইসি সার ডিলার ১০ জন।
.
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১টি (৫০ শয্যাবিশিষ্ট), পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৭টি, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৩টি, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৬টি। সরকারী অ্যাম্বুলেন্স ১টি। এবং হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দান করেছে ১টি অ্যাম্বুলেন্স।
.
বিসিক শিল্পাঞ্চল ভালুকায় অবস্থিত অসংখ্য গার্মেন্টস টেক্সটাইল ও বিভিন্ন শিল্পকারখানা থেকে তৈরি পোশাকসহ অসংখ্য পণ্য নিয়মিত বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে,যা দেশের শিল্প খাতে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে। দেশের বিভিন্ন জেলার লাখ লাখ জনগণের কর্মসংস্থান দিচ্ছে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিগুলো।
বানি্জ্যিকভাবে মাছ উৎপাদনে ভালুকার ব্যাপক সুনাম রয়েছে।পেশা হিসেবে অসংখ্য উদ্যোক্তা মাছ চাষকে বেছে নিয়েছেন। অধিকাংশ জলাশয়েই বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ হচ্ছে। রুই, কাতলা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, কই, মাগুর ও শিং জাতের মাছ চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভিত্তিতে।২০১৭-১৮ অর্থবছরে সারা দেশে মাছ উৎপাদিত হয়েছে ৪২ লাখ মেট্রিক টন এবং ময়মনসিংহ জেলায় মাছ উৎপাদন হয়েছে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮২ মেট্রিক টন।সে মতে সারাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১০ ভাগ উৎপাদিত হয় ময়মনসিংহে,যা অর্জনে সবচেয়ে বেশি অবদান ভালুকার।
ভালুকার হাতিবেড় গ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কুমির প্রজনন খামার রেপটাইলস। ২০০৪ সালে মাত্র ৭৫টি কুমির দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু,পরে কুমিরের ডিম থেকে কৃত্রিমভাবে বাচ্চা ফোটানো হয়। বর্তমানে এ খামারে কুমিরের সংখ্যা আড়াই হাজারের অধিক।জাপান (২০১৪, ১৫ ও ১৬ সালে) ও জার্মানিতে (২০১০ সালে) মোট চারবার জ্যান্ত কুমির এবং চামড়া রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার এই ফার্ম থেকেই কুমিরের মাংস, চামড়া, দাঁত ও হাড় রপ্তানি করে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আয় হয়েছে। বর্তমানে প্রতি বছর প্রচুর কুমির রপ্তানি হচ্ছে।
কৃষির আধুনিকায়নের ছোয়ায় প্রচলিত চাষাবাদের সাথেও ভালুকার গ্রামাঞ্চলে অনেক উদ্যোক্তা নতুন ধারায় চাষাবাদ করছেন। বানিজ্যিকভাবে খামার,ফলের বাগান, ফুলের বাগানে শিক্ষিত উদ্যোক্তাদের পদচারণা।
.
বিনোদন
ভালুকায় রয়েছে কাদিগড় জাতীয় উদ্যান, তেপান্তর সুটিং স্পট, ড্রীম ওয়াল্ড পার্ক & রিসোর্ট, গ্রীণ অরণ্য পার্ক, কুমির খামার, মোতালেবের সৌদিয়া খেজুর বাগান।খেলাধুলা
ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি, এক্কাদোক্কা, দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, কানামাছি, বউচি, দাবা ইত্যাদি। সংস্কৃতি[সম্পাদনা] মৈমনসিংহ গীতিকা, ফকিরি গান (জনপ্রিয়), বাউল গান, যাত্রা ইত্যাদি।.
২. ভালুকা পৌরসভা
১. জেলাঃ ময়মনসিংহ, উপজেলাঃ ভালুকা।
২.সীমানাঃ উত্তরে ভরাডোবা ও মল্লিকবাড়ী ইউনিয়ন , পূর্বে ভরাডোবা ভালুকা ইউনিয়ন,দক্ষিণে ভালুকা ও মল্লিকবাড়ী ইউনিয়ন,এবং পশ্চিমে মল্লিকবাড়ী ইউনিয়ন।
৩. জেলা সদর হতে দূরত্বঃ ৪৮ কিঃমিঃ।
৪. আয়তনঃ১০.৪২ বর্গ কিলোমিটার।
৫. জনসংখ্যাঃ পাঁচ বৎসর পূর্বের তথ্য অনুযায়ী ৬৩,৭৭৩ জন। বর্তমান লোকসংখ্যা.প্রায়১,৬০,০০জন। পুরুষ- ৩২,৫২৫ জন। মহিলা : ৩১,২৪৮ জন।
.
১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ক) কিন্ডার গার্ডেন : ৩০টি।খ) মোট প্রাথমি কবিদ্যালয় : ৬টি (সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪টি,বেঃকমিউঃপ্রাঃবিঃ-২টি)।
গ) নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ১টি।
ঘ) উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ২টি।
ঙ) মহাবিদ্যালয় : ১টি।
চ) কারিগরী মহাবিদ্যালয় : ১টি।
ছ) কামিল মাদ্রাসা : ১টি।
জ) দাখিল মাদ্রাসা : ২টি।
ঝ) কওমী মাদ্রাসা : ২টি।
২. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
ক) মসজিদ : ৪১টি।খ) মন্দির : ৪টি।
গ)গীর্জা : ১টি।
ঘ) ঈদগাহমাঠ : ৬টি।
ঙ)মাজার : ৪টি।
চ)তীর্থস্থান : ২টি।
৩. সামাজিক প্রতিষ্ঠানঃ
ক)সমবায় সমিতির সংখ্যা : ১০টি।খ)এতিমখানা : ৩টি।
গ)কবরস্থান : ১টি।
ঘ)শ্মশান : ১টি।
.
১. স্বাস্থ্য কেন্দ্রঃ
ক)সরকারী হাসপাতাল : ১টি(শয্যা সংখ্যা-৫০টি)।
খ) বেসরকারী হাসপাতাল : ৩টি।
গ)কমিউনিটি ক্লিনিক : ১ টি।
ঘ)এনজিও কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র : ১টি।
ঙ)ডায়াগোনোস্টিক সেন্টার : ৬টি।
২. সরকারী/অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানঃ
ক)ভূমিঅফিস : ১টি।
খ) ব্যাংক : ১০টি।
গ) ডাকবাংলো/ রেষ্টহাউজ : ২টি।
ঘ) ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন :১টি।
ঙ) খাদ্য গুদাম : ১টি(ধরনক্ষমতা ৫০০ মেট্রিকটন)।
চ) বিএডিসি উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্র : ১টি।
ছ) বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন অফিস : ৩টি।
জ) হাট-বাজার : ১টি।
ঝ) পেট্রোল পাম্প : ১টি।
ঞ)সি.এন.জি. ষ্টেশন : ২টি।
ট)মোবাইল টাওয়ার : ১০টি।
৩. শিল্প/ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
শিল্প প্রতিষ্ঠান মোট ১৬টি, অটো রাইসমিল ৬টি, রাইসমিল ৬টি,‘স’ মিল ১৬টি।৪.পেশাঃ
কৃষি ৫%,কৃষিশ্রমিক ৫%, দিনমজুর ৫%,ব্যবসা ৫০%, চাকুরী ৩০%, অন্যান্য ৫%।৫. কৃষি
মোট কৃষিজমি-১৮০ একর,(এক ফসলী জমি ১৭০ একর),(দুই ফসলী জমি ১০ একর)।৬. পশু সম্পদ
পশু হাসপাতাল ১টি, কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র ও পয়েন্ট ১টি,পোল্ট্রি খামার ২টি, হ্যাচারী ২টি।৭. পোষ্টাল সুবিধা
ডাকঘর ১টি(পোষ্টাল কোড-২২৪০)।৮. সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান
পাবলিক হল ১টি, ক্রীড়া সংস্থা ১টি, পাঠাগার ১টি, খেলার মাঠ ৩টি, অফিসার্স ক্লাব ১টি,স্থানীয় ক্লাব২টি।৯. এন,জি,ও কার্যক্রম
গ্রামীনব্যাংক, ব্রাক, আশা,বাসা, প্রশিকা, প্রতিশ্রম্নতি, ব্যুরো, ব্যুরোটাঙ্গাইল, ওয়ার্ল্ডভিশন, পদক্ষেপ, পরশমনি, পপিসহ-৫০টি।১০. সরকারী সুবিধা/ সুবিধাভোগী
বিধবা ভাতাভোগী ১৮৯ জন, বয়স্ক ভাতাভোগী-২১৩, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী-১৬, মুক্তিযোক্তা ভাতাভোগী-৭জন।.
১. পৌরসেবা
পৌরসভার দৈনিক পানির চাহিদা ২৫ গ্যালন,দৈনিক উৎপাদিত আবর্জনার পরিমান ০.৩মেঃটন, দৈনিক অপসারন ০.৩মেঃটন২. পৌরসভার আওতাধীন ষ্টিট লাইটের সংখ্যা ৩৫০টি
৩. পৌরসভার নিজস্ব যানবাহন-৩টি, ভ্যান-০৮টি,গণশৌচাগার-২টি।
.
ভালুকা পৌরসভার ওয়ার্ড সমূহ
ওয়ার্ডের নং | ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত গ্রাম/মহল্লার নাম |
---|---|
১নং | ভান্ডাব |
২নং | ভালুকা বাজার |
৩নং | চাপরবাড়ী |
৪নং | গফরগাঁও রোড |
৫নং | পূর্ব ভালুকা |
৬নং | মেজরভিটা |
৭নং | খারুয়ালী |
৮নং | কাঠালী বাঘড়া পাড়া |
৯নং | কাঠালী |
.
৩. ভালুকা উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের তথ্য
ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা ১নং উথুরা ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে প্রায় ২৯ হাজার জনগণ বসবাস করছে।
ক) নাম –১নং উথুরা।
খ) আয়তন – ৪৩.৩১ (বর্গ কিঃ মিঃ)
গ) লোকসংখ্যা – ২৯২৭৭ জন (প্রায়) (২০১১ আদম শুমারি অনুযায়ী)
ঘ) সংখ্যা সংখ্যা – ১২টি।
ঙ) মৌজার সংখ্যা – ৯টি।
চ) হাট/বাজার সংখ্যা -৬ টি।
ছ) উপজেলা সদর থেকে যোগাযোগ মাধ্যম – সিএনজি/রিক্সা।
জ) শিক্ষা হার – ৪৯%। (২০০১ এর শিক্ষা জরীপ অনুযায়ী)
সরকার প্রাথমিক- ১৬টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়-১টি, উচ্চ বিদ্যালয়- ০৩, কলেজ/উচ্চ শিক্ষাঃ ২টি, মাদ্রাসা- ২টি।
ক্রমিক | নাম | পদবি | মোবাইল |
---|---|---|---|
১ | মো: নুরুল ইসলাম | ইউপি চেয়ারম্যান | ০১৭১৫৭০৩৯৮২ |
২ | রুবেল মন্ডল | প্রশাসক | ০১৭০৮৪১৫০০০ |
৩ | মোছা: ফাতেমা চৌধুরী | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭৫২-২৮৩০৩৭ |
৪ | মোছা: মিনানা খাতুন | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭৬৩-৩৭৪৮৭৮ |
৫ | মোছা: নাজমা খাতুন | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭৪৯-১১৮৪৯২ |
৬ | মোঃ খলিলুর রহমান | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৯১৭-৯১৯৪৯৩ |
৭ | মো: আবুল মনসুর | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭০৮৪৪৬৬২৫ |
৮ | রতন মিয়া | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭৩৩-১৬৯২৪৮ |
৯ | মো: শহিদুল্লাহ মনসুর | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭০৮৪৪৬৬২৭ |
১০ | মোঃ স্বপন মিয়া | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭৬০-১৭৭৩১৯ |
১১ | আব্দুল বাছেদ | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭১৮-১৬৬৫০১ |
১২ | মোঃ আসাদুজ্জামান | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭১৮-৫৮২০৯২ |
১১ | মোঃ আব্দুর রাজ্জাক | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭৫২-৫৭৯০৮১ |
১১ | গোলাম মুহাম্মদ কিবরিয়া | ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার | ০১৭১২-৪৬৫৯৯৫ |
.
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভরাডোবা টূ ঘাটাইল পাঁকা রাস্তার পাশে মনোরম পরিবেশে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে ভালুকা উপজেলার মধ্যে ১১টি গ্রামের সমন্বয়ে মেদুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ। সবেক চেয়ারম্যান জনাব, মোঃ আব্দুস ছোবান মোল্লাহ এক একর জমি সচিব, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রালয় বরাবরে সর্ত্যাপন দলিল মূলে দান করে বান্দিয়া গ্রাম হইতে নিঝুরী গ্রামে ইউপি কার্যালয়টি স্থানান্তর করেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন ও খেলাধূলা নিয়ে তার আপন গতিতে চলমান।
ক) নাম- ২নং মেদুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ
খ) আয়তন- ৩৪.০৪ বর্গ কি:মি:
গ) লোকসংখ্যাঃ ৩০১৭০ জন
ঘ) গ্রামের সংখ্যাঃ ১১ টি
ঙ) মৌজার সংখ্যাঃ ৪টি
চ) হাট/বাজারের সংখ্যাঃ ৩টি (সরকারী)
ছ) উপজেলা থেকে যোগাযোগের ব্যবস্থাঃ সিএনজি, বাস, রিক্সা, ইজি বাইকের মাধ্যমে
জ) শিক্ষার হার : ৩৯.০৩% (২০০১সালের আদম শুমারী অনুসারে)
ঝ) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় : ১৩ টি
ঞ) বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় : ৩টি
ট) উচ্চ বিদ্যালয় : ৪টি
ঠ) মাদ্রাসা : ৩টি
ড) গ্রাম সমুহের নাম:
১। মেদুয়ারী, ২। বান্দিয়া,৩। ছোটলোহাবই, ৪। বরাইদ, ৫। রামপুর, ৬। বনকূয়া,
৭। বগাজান, ৮। জগৎবের, ৯। সোয়াইল, ১০। পানিভান্ডা, ১১। নিঝুরী
ণ) ইউনিয়ন পরিষদের জনবল
নিবার্চিত পরিষদ সদস্য : ১৩ জন
ত) ইউনিয়ন পরিষদ সচিব : ১জন
থ) ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিক : ২টি
দ) ইউনিয়ন দফাদার : ১জন
ধ) গ্রাম পুলিশ : ০৭ জন(কর্মরত)
সাবেক চেয়ারম্যানগনের তালিকা
ক্রমিক | নাম | মেয়াদ |
---|---|---|
০১ | জনাব মোঃ আঃ আজিজ মিয়া | ১৯৭৩-১৯৭৮ |
০২ | জনাব মোঃ আমির উদ্দিন মাস্টার | ১৯৭৮-১৯৮৩ |
০৩ | জনাব মোঃ আব্দুস ছোবান মোল্লা | ১৯৮৩-১৯৮৮ |
০৪ | জনাব মোঃ আব্দুস ছোবান মোল্লা | ১৯৮৮-১৯৯২ |
০৫ | জনাব মোঃ আঃ আজিজ মিয়া | ১৯৯২-১৯৯৭ |
* | জনাব মোঃ রোস্তম আলী (ভারপ্রাপ্ত) | ১৯৯৭-১৯৯৮ |
০৬ | জনাব এ.কে.এম সহিদুজ্জামান তালুকদার | ১৯৯৮-২০০৩ |
০৭ | জনাব মোঃ লোকমান হেকিম সরকার | ২০০৩-২০১১ |
০৮ | জনাব আ.ন.ম. নূরুল মাউফ খান মোমেন | ২০১১-২০১৬ |
* | জনাব মোঃ মিয়াজ উদ্দিন (প্যানেল চেয়ারন্যান-১) | ২০১৬-২০১৬ |
০৯ | জনাবা মোছাঃ জেসমিন নাহার রানী | ২০১৬-২০২৪ |
.
হাট-বাজার তালিকা
মোট ৪টি হাট রয়েছে যথা:-
(১)ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড হাট
(২)ভরাডোবা উচ্চবিদ্যালয় হাট
(৩)পুরুড়া হাট
(৪)পুরুড়া আফাজউদ্দিনের হাট।
বাজার সমূহ:-
(১)নিশিন্দা বাজার
(২)পুরুড়া বাজার
(৩)রাংচাপড়া বাজার।
.
কালের স্বাক্ষীবহনকারী সূতিয়া সদীর তীরে গড়ে উঠা ত্রিশাল ও গফরগাও উপজেলার শেষ সমানায় ভালুকা উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো ধীতপুর ইউনিয়ন। কালপরিক্রমায় আজ ধীতপুর ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলা ধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল।
ক) নাম – ৪নং ধীতপুর ইউনিয়ন পরিষদ।।
খ) ধীতপুর ইউনিয়নের গ্রামসমূহঃ বাদে পুরম্নড়া, বহুলি, ধীতপুর, পাঁচগাতিয়া, নয়া বিটা, রান্দিয়া, ধলিয়া, পানিহাদী।
গ) শিক্ষাঃ
শিক্ষার হার : ৮৫%শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ ১. ধলিয়া বহুলী হাইস্কুল ও কলেজ
২. আজিমুন্নেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
৩. ২৭ নং ধলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
৪. ধলিয়া গুলেনুর দাখিল মাদ্রাসা
৫. দীপ্তি একাডেমি,ধীতপুর।
৬. রান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
৭. টুংরাপাড়া কে জে এম উচ্চ বিদ্যালয
ঘ) ইউনিয়ন পরিষদ জনবলঃ
১) নির্বাচিত পরিষদ সদস্য – ১৩ জন।।২) ইউনিয়ন পরিষদ সচিব – ১ জন।।
৩) ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশ – ৯ জন।
ঙ) উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিঃ
মোস্তাফিজুর রহমান খান – স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ.
বিরুনিয়া ভালুকা উপজেলার অর্ন্তগত একটি ইউনিয়ন। এর উত্তরে ধীতপুর ইউনিয়ন পূর্বে গফরগাও উপজেলা, দক্ষিনে রাজৈ ইউনিয়ন ও পশ্চিমে ভালুকা ইউনিয়ন।
উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটি ভালুকা টু গফরগাও পাকা রাস্তার পার্শ্বে একটি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। এর সামনে বিশাল মাঠ, সায়েরা সাফায়েত স্কুল এন্ড কলেজ, মাহমুদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন স্বাষ্হ্য কেন্দ্র অবস্হিত।
ক.ইউনিয়নের আয়তন: ২৭.২৬ কি: মি:
খ. লোকসংখ্যা : ২১৮৯৩
গ. গ্রামের সংখ্যা: ৯
ঘ. মোজার সংখ্যা: ৯ টি
ঙ. শিক্ষার হার: ৩৭.৭৪%
চ. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
১.স্কুল এন্ড কলেজ ১ টি
২. মহিলা কলেজ ১ টি
৩. মাধ্যমিক বিদ্যলিয় ৫ টি
৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়:
সরকারী: ১২ টি, এফতেদিয়া ২ টি
ছ. গ্রাম সমুহের নাম:
১। গোয়ারী
২। ভাওয়ালিয়া বাজু
৩। বাওয়া
৪। চান্দরাটি
৫। মাহমুদপুর
৬। কংশেরকুল
৭। বিরুনীয়া
৮। বাকসী বাড়ী
৯। কাইচান
.
কালের স্বাক্ষীবহনকারী খিরু নদীর তীরে গড়ে উঠা ভালুকা উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো ভালুকা ইউনিয়ন। কালপরিক্রমায় আজ ভালুকা ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলা ধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল। ৬নং ভালুকা ইউনিয়ন পরিষদটি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসরকের নিকট হইতে ভালুকা পনাশাইল রোডের ২নং ওয়ার্ডের খারুয়ালী গ্রামে অবস্থিত।
ক) নাম: ৬নং ভালুকা ইউনিয়ন পরিষদ
খ) মোট লোক সংখ্যাঃ ২১২২৩
গ) গ্রামের সংখ্যা -৯টি
ঘ) মৌজা -৯টি
ঙ) হাট/বাজার সংখ্যা -৩টি
১। মেদিলা বাজার
২। আশকা বাজার
৩। বাশিল বাজার
চ) উপজেলা সদর থেকে যোগাযোগের মাধ্যম – টেম্পু,সি.এন.জি,বাস
ছ) শিক্ষার হার ৪০.৮২ (২০০১এর শিক্ষার জরীপ অনুযায়ী)
জ) গ্রামের নাম
০১. ভালুকা
০২. খারুয়ালী
০৩. মিরকা
০৪. নিশাইঞ্জ
০৫. মেদিলা
০৬. আশকা
০৭. কাঠালী
০৮. মেহেরাবাড়ী
০৯. বাশিল
ঝ) শিক্ষা তথ্য
১. হাই স্কুল ৩টি
২. প্রাইমারি স্কুল ৮টি
৩. মাদ্রাসা
৪টি
৪. মন্দির ১টি
৫. মসজিদ ৪০টি
.
মল্লিকবাড়ী ইউনিয়ন ৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। মল্লিবাড়ী ইউনিয়নের গ্রাম সমূহ
১। মল্লিকবাড়ী, ভায়াবহ, বর্তা, নয়নপুর, ধামশুর, ভান্ডাব, সাতেঙ্গা, মামারিশপুর, গোবুদিয়া।
জনসংখ্যা ২১ হাজার।
.
ভালুকা টু সখিপুর পাঁকা রাস্তার পাশে মনোরম পরিবেশে ১৩কিমি পশ্চিমে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে ভালুকা উপজেলার মধ্যে ১২টি গ্রামের সমন্বয়ে ডাকাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন ও খেলাধূলা নিয়ে তার আপন গতিতে চলমান।
১। নাম- ৮নং ডাকাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ।
২। আয়তন- ৬২.০৪ বর্গ কি:মি:।
৩। লোকসংখ্যাঃ ৭৫৬৫০ জন।
৪। গ্রামের সংখ্যাঃ ১২ টি।
৫। মৌজার সংখ্যাঃ ৭টি।
৬। হাট/বাজারের সংখ্যাঃ ৫টি (সরকারী)।
৭। উপজেলা থেকে যোগাযোগের ব্যবস্থাঃ সিএনজি, বাস, রিক্সা, ইজি বাইকের মাধ্যমে।
৮। শিক্ষার হার : ৪৯.০৩% (২০০১সালের আদম শুমারী অনুসারে)।
৯। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় : ২১ টি।
১০। বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় : ৩টি।
১১। উচ্চ বিদ্যালয় : ৩টি।
১২। মাদ্রাসা : ৩টি।
১৩। ইউনিয়ন পরিষদের জনবল – নিবার্চিত পরিষদ সদস্য : ১৩ জন।
১৪। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব : ১জন।
১৫। ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তা : ২জন। ।
১৬। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র -১টি।
১৭। ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিক : ৫টি।
১৮। ইউনিয়ন দফাদার : ১জন।
১৯। গ্রাম পুলিশ : ০৭ জন(কর্মরত)
.
কালের সাক্ষ্য বহনকারী ভালুকা উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা হল পূর্বে কাচিনা ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা সমতল। কালের পরিক্রমায় এখনো শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাচিনা ইউনিয়নের নিজস্ব স্বকীয়তা রয়েছে।
ক) নাম- নবম কাচিনা ইউনিয়ন পরিষদ।
খ) এলাকা – 584 (একর)
গ) জনসংখ্যা – 25612 জন (প্রায়) (2011 সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)
ঘ) গ্রামের সংখ্যা – 6 টি
ঙ) মৌজার সংখ্যা- 5টি
চ) হাট/বাজার সংখ্যা-6।
ছ) উপজেলা সদর থেকে যোগাযোগের মাধ্যম- সিএনজি/রিকশা।
.
হবিরবাড়ী ইউনিয়ন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। যা বর্তমানে শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত এবং দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে বিবেচিত।
১. অবস্থান ও সীমানাঃ
হবিরবাড়ি ময়মনসিংহ জেলার সর্বশেষ দক্ষিণের ইউনিয়ন। এর পূর্বদিকে রাজৈ ইউনিয়ন, উত্তরে মল্লিকবাড়ি ইউনিয়ন, পশ্চিমে কাচিনা ইউনিয়ন এবং এর দক্ষিণ অংশ থেকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার সীমানা শুরু। এই ইউনিয়নের সীমানা থেকেই ময়মনসিংহ জেলা ও বিভাগের সীমানা শুরু। ইউনিয়নের প্রধান দুইটি বাজার ‘সিডস্টোর বাজার ও মাস্টারবাড়ী বাজার’ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থিত।২. ইতিহাসঃ
== প্রশাসনিক এলাকা ==মাস্টার বাড়ি ও ভালুকা== আয়তন ও জনসংখ্যা == ২৩ হাজার (প্রায়)
৩. গ্রাম ও মৌজাঃ
পাড়াগাঁও, হবিরবাড়ী, পাখিরচালা, বড়চালা, লবনকোঠা, কাশর, মাস্টারবাড়ী, শিরিরচালা, ঝালপাজা, আমতলী, এতিমখানা।৪. শিক্ষাঃ
শিক্ষার হার :৮৩ ভাগশিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
ক। হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সোনার বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ
খ। হবিরবাড়ী বাহারুল উলুম আলিম মাদরাসা
গ। সমলা তাহের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
ঘ। জামিরদিয়া আব্দুল গণি মাস্টার স্কুল এন্ড কলেজ
ঙ। বড়চালা হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসা
চ। পাড়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়
ছ। পাড়াগাঁও নব-দিগন্ত হাই স্কুল
জ। ঝালপাজা উচ্চ বিদ্যালয়
ঝ। শিরির চালা দাখিল মাদরাসা
৫. দর্শনীয় স্থানঃ
ক। হবিরবাড়ী বনখ। হযরত গফুর মৌলভী (রঃ) দরগাহ
গ। গ্ৰীন অরন্য পার্ক এন্ড রিসোর্ট
ঘ। লাউতির খাল ব্রিজ
ঙ। হোটেল তেপান্তর প্রিন্সেস
চ। এনটিভি (রিসোর্ট)
ছ। পাখির চালা জঙ্গল
৬. উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বঃ
ক। মরহুম তাহের আলী সরকার (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান)খ। আলহাজ্ব আবুবকর সিদ্দিক বি.এ (বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান)
গ। বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ নিজাম উদ্দিন বি.এ (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান)
ঘ। বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ কাশেম
ঙ। মরহুম আব্দুল গণি মাস্টার (জামিরদিয়া)
চ। মরহুম সুবেদ আলী মন্ডল
ছ। শামসুদ্দিন আহমেদ ( গরীবুল্লাহ ডাক্তার) –জামিরদিয়া
জ। মরহুম হযরত মাওলানা মিজানুর রহমান (মিজান হুজুর)
ঝ। মরহুম হাজী হুসেন আলি মোল্লাহ (পাড়াগাঁও)
ঞ। হাজী আবুল কাশেম মুন্সি (পাড়াগাঁও)
ট। মরহুম নান্নু চেয়ারম্যান (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান)
সাবেক চেয়ারম্যানগনের তালিকা
ক্রমিক | নাম | মেয়াদ |
---|---|---|
১ | হাজী নিজাম উদ্দিন | ২০০১-২০০৬ |
২ | হাজী নিজাম উদ্দিন | ২০০৬-২০১১ |
৩ | মুহাম্মদ মোরশেদ আলম | ২০১১-২০১৬ |
৪ | মোঃ তোফায়েল আহমেদ | ২০১৬-২০২১ |
৫ | মোঃ তোফায়েল আহমেদ | ২০২২-২০২৪ |
.
রাজৈ ইউনিয়ন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। এটি ভালুকা উপজেলার খিরু নদীর তীরে অবস্থিত এই ইউনিয়ন।
অবস্থান ও সীমানাঃ
১১ নং রাজৈ ইউনিয়ন। ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা একটি ইউনিয়ন। ভালুকা উপজেলার খিরু নদীর তীরে অবস্থান। সর্ব প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ ছিল রাজৈ বাজারে তার পর ২০১৬ সালে বোর্ড বাজারে ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে আসা হয়েছে।
১১ নং রাজৈ ইউনিয়ন ৯ টি ওর্য়াড নিয়ে ঘটিত। এর উওরে ও পূবে ৫নং বিরুনীয়া ইউনিয়ন ও পশ্চিমে ৬ নং ভালুকা ইউনিয়ন। দক্ষিনে অবস্থিত, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার, ৫নং কাওরাইদ ইউনিয়ন। ও পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে ১০ নং হবিরবাড়ী ইউনিয়ন।
১১ নং রাজৈ ইউনিয়নে ৩ টি নদী ও অনেক গুলো বিল রয়েছে। রাজৈ ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণে মাছ চাষ হয়।
এই ইউনিয়নে অনেক গুলো প্রাচীন বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালায় গুলো হলোঃ ৮৩নং কুল্লাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও জামিরাপাড়া এসএম উচ্চ বিদ্যালয় ও রাজৈ উচ্চ বিদ্যালয় ও শহিদ সরণি উচ্চ বিদ্যালয় ও পনাশাইল উচ্চ বিদ্যালয় ও পাইলাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উরাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চান্দাব নাথপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খূর্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চান্দাব দাখিল মাদ্রাসা ও অন্যান বিদ্যালয়। ১১ নং রাজৈ ইউনিয়ন খেলাধুলার জন্য অন্যতম।